,

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো মুক্তাঞ্চল সাহিত্য উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার : চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করে শিশু-কিশোরদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠন মুক্তাঞ্চল সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র। সকাল ৮টায় পৌর টাউন হলে উৎসবের উদ্বোধনের পর শহরে কবিতার মিছিল বের করা হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আলোচনা, শিশু-কিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
হবিগঞ্জে তৃতীয় মুক্তাঞ্চল সাহিত্য উৎসবে ‘কেন লিখি’ বিষয়ক মতবিনিময়ে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক ও জ্যোতিবিজ্ঞানী দীপেন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা যা লিখি, তার অন্যতম মূল বিষয় হচ্ছে ইগো, মানে আত্ম-অহমিকা। আমরা সবাই লিগ্যাসি রেখে যেতে চাই। আমরা যতই ইগো থেকে দূরে যেতে চাই না কেন, এই আত্ম-অহমিকা যদি কিছুটা না থাকে তাহলে সৃজন সেভাবে সম্ভব হয় না।’
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টায় হবিগঞ্জ টাউন হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে আরও বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শাহানাজ মুন্নী, কবি সরকার আমিন, কবি জাহান আরা খাতুন, কবি ও কথাসাহিত্যিক নাহিদা আশরাফী, কথাসাহিত্যিক ফাতেমা আবেদীন নাজলা। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ৩য় মুক্তাঞ্চল সাহিত্য উৎসব’২৩ আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা কথাসাহিত্যিক রুমা মোদক।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব আয়োজক কমিটির সভাপতি মোঃ মুশফিকুর রহমান (তুহিন) বলেন, ‘আমরা সমকালীন, অগ্রজ ও অনুজ লেখকদের চিন্তাভাবনা, আবেগ অভিজ্ঞতা সহ সাম্প্রতিক সাহিত্যের প্রবণতাগুলো পাঠকের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমরা এমন একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে সবাই বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করবে এবং যেকোনো মত প্রকাশকে উৎসাহিত করবে। এমন একটি পৃথিবী যেখানে সবাই ভলতেযারের মতো বলবে, আপনি যা বলছেন তার কোন কিছুই আমি মানি না, কিন্তু আপনাকে ওই বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতা দেবার জন্য প্রয়োজন হলে আমি জীবন দেবো’।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে উৎসব আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অভিজ্ঞান ধর বলেন, ‘আমরা তৃতীয়বারের মতো সফলতার সাথে হবিগঞ্জে সাহিত্য উৎসব আয়োজন করেছি। প্রতি বছর শুধুমাত্র সারাদেশ থেকে আগত নন্দিত লেখকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এমনটা নয়। প্রতিবছরই অতিথি হিসেবে হবিগঞ্জ জেলার শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীসহ সুশীল সমাজের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ তাকে মুক্তাঞ্চলের সাহিত্য উৎসবে। যেমনটা এবছর ও হয়েছে। এছাড়াও উৎসব মঞ্চে আমরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ৫৮টি পুরষ্কার প্রদান করেছি।’
সন্ধ্যায় স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিন চন্দ্র পালকে স্মরণ করে তথ্যচিত্র ও ছবি প্রদর্শিত হয়। রাতে মতবিনিময় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব পালিত হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর